তিস্তা ব্যারেজ এখন বাঁমতীরের মানুষের কাছে গলার কাঁটা । দায়ী তৎকালীন বি এন পি নেতারা । ১৯৭৯ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন রংপুর জেলার( বর্তমানে লালমনিরহাট) জেলার হাতীবান্ধা থানার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজের কাজ শুরু হলে সে সময়ের সরকারী দল বি এন পি’র স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নির্লিপ্ত ভুমিকার ও জিয়াউর রহমানের সিনিয়র মন্ত্রী( প্রধানমন্ত্রী মর্যাদায়) মশিউর রহমান যাদু মিঞার স্বৈরাচারী মনোভাবের কারনে বন্যা নিয়ন্ত্রন ও সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় লালমনিরহাটের সব কয়টি থানা/উপজেলা । খরা মৌসুমে সেচ সুবিধা প্রদান, বর্ষা মৌসুমে সেচ এলাকা থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা তথা বন্যা নিয়ন্ত্রনের জন্যে অনেকগুলো ফেজ স্থাপন করা হয় । প্রায় সকল ফেজ বা ক্যানেল মশিউর রহমান যাদু মিঞার নিজ এলাকা নীলফামারী জেলার ভিতর দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গেলেও লালমনিরহাট জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রন ও সেচ সুবিধা প্রদানের জন্যে কোনো ফেজ বা ক্যানেল যায় নি ।ফলে তিস্তা ব্যারেজের মুল প্রকল্পটি লালমনিরহাট জেলায় স্থাপিত হলেও এর সেবা থেকে এই জেলাই বঞ্চিত হয়ে পড়ে । তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নক্সা অনুমোদন ও বাস্তবায়নের সময়ে লালমনিরহাটের সবকটি সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন সরকারদলীয় নেতারা। লালমনিরহাট সদরে সংসদ সদস্য ছিলেন রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা মিঞা, কালীগঞ্জ আসনে ছিলেন মজিবর রহমান হেডমাষ্টার, হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যক্ষ কাজী নুরুজ্জামান । জিয়াউর রহমানের অতি ঘনিষ্ঠজন হলেও এই তিন জন সংসদ সদস্য এবং বি এন পি’র অন্যান্য স্থানীয় নেতারা তিস্তাব্যারেজ প্রকল্প থেকে লালমনিরহাটবাসীর জন্যে স্থায়ী কোনো সেবা আদায় করে নিতে পারেননি । বর্ষা এলে ক্যানেলগুলো যাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্যে ব্যারেজ কতৃপক্ষ তিস্তার ডানতীরে ক্যানেলগুলো বন্ধ রাখে । ফলে নদীর পানি ফুলিয়ে-ফাপিয়ে উঠে এবং বাম তীরকে প্লাবিত করে । বি এন পি সরকার বা তৎকালীন নেতাদের ব্যর্থতার ফলে লালমনিরহাট জেলাবাসীকে প্রতি বছর ভোগান্তির শিকার হতে হয় । প্রয়োজনীয় পানির অভাবে যেমন বাম তীরে যেমন ইরি চাষাবাদ ব্যহত হয় তেমনি বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের ক্যানেল না থাকায় বন্যায় ভেসে যায় লালমনিরহাট জেলার বিস্তির্ণ জনপদ । নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয় লাখো মানুষের বাস্তু ভিটা ও আবাদী জমি ।<><><> শাহজাহান হোসেন লিপু ।
তিস্তা ব্যারেজ এখন বাঁমতীরের মানুষের কাছে গলার কাঁটা । দায়ী তৎকালীন বি এন পি নেতারা ।
ReplyDelete১৯৭৯ খ্রীষ্টাব্দে তৎকালীন রংপুর জেলার( বর্তমানে লালমনিরহাট) জেলার হাতীবান্ধা থানার গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজের কাজ শুরু হলে সে সময়ের সরকারী দল বি এন পি’র স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নির্লিপ্ত ভুমিকার ও জিয়াউর রহমানের সিনিয়র মন্ত্রী( প্রধানমন্ত্রী মর্যাদায়) মশিউর রহমান যাদু মিঞার স্বৈরাচারী মনোভাবের কারনে বন্যা নিয়ন্ত্রন ও সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় লালমনিরহাটের সব কয়টি থানা/উপজেলা । খরা মৌসুমে সেচ সুবিধা প্রদান, বর্ষা মৌসুমে সেচ এলাকা থেকে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করা তথা বন্যা নিয়ন্ত্রনের জন্যে অনেকগুলো ফেজ স্থাপন করা হয় । প্রায় সকল ফেজ বা ক্যানেল মশিউর রহমান যাদু মিঞার নিজ এলাকা নীলফামারী জেলার ভিতর দিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় গেলেও লালমনিরহাট জেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রন ও সেচ সুবিধা প্রদানের জন্যে কোনো ফেজ বা ক্যানেল যায় নি ।ফলে তিস্তা ব্যারেজের মুল প্রকল্পটি লালমনিরহাট জেলায় স্থাপিত হলেও এর সেবা থেকে এই জেলাই বঞ্চিত হয়ে পড়ে ।
তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নক্সা অনুমোদন ও বাস্তবায়নের সময়ে লালমনিরহাটের সবকটি সংসদীয় আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন সরকারদলীয় নেতারা। লালমনিরহাট সদরে সংসদ সদস্য ছিলেন রেয়াজ উদ্দিন আহমেদ ভোলা মিঞা, কালীগঞ্জ আসনে ছিলেন মজিবর রহমান হেডমাষ্টার, হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন অধ্যক্ষ কাজী নুরুজ্জামান । জিয়াউর রহমানের অতি ঘনিষ্ঠজন হলেও এই তিন জন সংসদ সদস্য এবং বি এন পি’র অন্যান্য স্থানীয় নেতারা তিস্তাব্যারেজ প্রকল্প থেকে লালমনিরহাটবাসীর জন্যে স্থায়ী কোনো সেবা আদায় করে নিতে পারেননি ।
বর্ষা এলে ক্যানেলগুলো যাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্যে ব্যারেজ কতৃপক্ষ তিস্তার ডানতীরে ক্যানেলগুলো বন্ধ রাখে । ফলে নদীর পানি ফুলিয়ে-ফাপিয়ে উঠে এবং বাম তীরকে প্লাবিত করে ।
বি এন পি সরকার বা তৎকালীন নেতাদের ব্যর্থতার ফলে লালমনিরহাট জেলাবাসীকে প্রতি বছর ভোগান্তির শিকার হতে হয় । প্রয়োজনীয় পানির অভাবে যেমন বাম তীরে যেমন ইরি চাষাবাদ ব্যহত হয় তেমনি বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের ক্যানেল না থাকায় বন্যায় ভেসে যায় লালমনিরহাট জেলার বিস্তির্ণ জনপদ । নদীভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয় লাখো মানুষের বাস্তু ভিটা ও আবাদী জমি ।<><><>
শাহজাহান হোসেন লিপু ।
right..
ReplyDelete